নারীদের পোশাকঃ
_____________
১) যে লেনাস মহিলা পরিধান করবে সেটা যেন ( বেগানা পুরুষের সামনে) সৌন্দর্যময় ও দৃষ্টি-আকর্ষিক না হয়।
—( সূরা আন-নূর : ২৪/৩১ )
২)লেবাস যেন এমন পাতলা না হয় যেন কাপড়ের উপর থেকেও ভিতরের চামড়া দেখা যায়। এ ধরনের ঢাকা থাকলেও খোলার পর্যায়ভুক্ত।
একদা হাফসাহ্ বিনতে 'আব্দুর রহমান পাতলা ওড়না পরে 'আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট গেলে তিনি তার ওড়নাকে ছিঁড়ে ফেলেদেন এবং তাকে একটি মোটা ওড়না পরতে দিলেন।
—(মুওয়াত্তা মালিক,মিশকাতুল মাসাবীহ ৪৩৭৫)
৩) পোশাক যেন এমন আট-সাট (টাইটফিট) না হয় যাতে দেহের উঁচু নিচু বুঝা যায়।
৪) "সে মহিলার কোন সলাত ক্ববুল হয় না, যে তার স্বামী ছাড়া অন্য কারোর জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করে; যতক্ষণ না নাপাকীর গোসল করার মত গোসল করে নেয়। "
—( সুনান আবূ দাঊদ,নাসায়ী,ইবন মাজাহ, বায়হাক্বী,সিলসিলাহ সহীহাহ্, আলবানী ১০৩১)
৫) মহিলাদের লেবাসে চুল,পেট,পিঠ,হাতের কব্জির উপরি ভাগের অংগ (কনুই, বাহু প্রভৃতি) বের হয়ে থাকলে সলাত হয় না। পায়ের পাতা ঢেকে নেয়া কর্তব্য।
—( মাজাল্লাতু বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৬/১৩৮, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদি উলামা-কমিটি ১/২৮৮, কিদাঃ ৯৮ পৃষ্ঠ)
৬) অবশ্য সমনে কোন বেগানা পুরুষ থাকলে চেহারা ঢেকে নিতে হবে। ঘর অন্ধকার হলেও বা একা থাকলেও সলাত আদায় করতে ঢাকা ফারয্, এমন কোন অংগ প্রকাশ পেয়ে গেলে সলাত বাতিল হয়ে যাবে। সে সলাত পুনরায় ফিরিয়ে পড়তে হবে।
—( ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২৮৫)
[সূত্র : সলাতে মুবাশ্শির ৫৭-৬০ পৃষ্ঠা]
পুরুষদের পোশাক
___________
১) কাধ ঢাকতে হবে ।
—( সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ ৭৫৪-৭৫৬ )
২) পোশাক নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত অংশ অবশ্যই ঢেকে রাখবে ।
—( সহীহুল জামি' : ৫৫৮৩ )
আর খেয়াল রাখতে হবে, যেন লজ্জাস্থান প্রকাশ না পেয়ে যায় ।
—( ঐ মিশকাতুল মাসাবীহ : ৪৩১৫ )
৩) পুরুষদের দেহ ঊর্ধ্বাংশের কাপড় সংকীর্ণ হলে যেন পেট-পিঠ বের না হয়ে যায়।
৪) লেবাস যেন এমন পাতলা না হয়, যাতে কাপড়ের উপর থেকেও ভিতরের চামড়া দেখা যায় ।
৫) লেবাস যেন কোন কাফিরদের অনুসৃত না হয় ।
মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, " যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন ( লেবাসে-পোশাকে, চাল-চলনে অনুকরণ ) করবে সে তাদেরই দলভুক্ত । "
—( সুনান আবূ দাঊদ, মিশকাতুল মাসাবীহ ৪৩৪৭ )
৬) পুরুষদের জন্য টুপী, পাগড়ী বা রুমাল মাথায় ব্যবহার করা উত্তম ।
৭) গাঢ় হলুদ বা জাফরানি রং এর যেন না হয় । " এগুলো কাফিরদের কাপড়!"
—( সহীহ মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ ৪৩২৭ )
৮) লেবাস যেন রেশমী কাপড়ের না হয় । পরিহিত লেবাস ( পায়জামা, প্যান্ট, লুংগি, যুব্বা প্রভৃতি) যেন পায়ের টাখনুর নিচে না হয় ।
৯) সলাতের জন্য এমন নকশাদার কাপড় হওয়া উচিত নয়, যাতে সলাত আদায়কারীর মন বা একাগ্রতা চুরি করে নেয় ।
—( সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ : ৭৫৭ )
১০) টাইট-ফিট্ প্যান্ট, শার্ট, গেনজি, চুস্ত্ পায়জামা ও খাটো ফতুয়া পরে সলাত মাকরূহ । টাইট হওয়ার কারণে সলাতে একাগ্রতা ভংগ হয় । তাছাড়া কাপড়ের উপর থেকে (বিশেষ করে পিছন থেকে) লজ্জাস্থান ঊঁচু-নীচু অংশ ও আকার বোঝা যায় ।
—( মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৫/৭৫)
[ সূত্রঃ সলাতের মুব শশির ৬০-৬৪ পৃষ্ঠা ]
Tuesday, May 28, 2013
Monday, May 20, 2013
নামাজ এর মৌলিক ধারনা। পর্ব-১
♦বিসমিল্লাহ হিররাহমানির রাহিম ♦
নামায ফারাসী সব্দ । আরবী সালাত অর্থাৎ দোয়া বা প্রার্থনা । ইসলাম ধর্মে অনুষ্ঠনগত ধর্মিও অনুশাসনে র মধ্যে প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য প্রতিদিন ৫ বার নামায অতি অবশ্যই পালনীয় এবং অন্যান্য অনুশাসনের মধ্যে এটাই প্রধান অনুশাসন । মহানবি এক বারও এটাকে বাদ দেন্নি । এমনকি মৃত্যুর পুর্ব মুহূর্তেও তার পবিত্র মূখ দিয়ে যে দূটো কথা বের হয়েছিল তাহল - " নামায " ও " গরিব মানুষ" । আল্লাহ তার আপন বাণী পবিত্র কোর-আনে অন্যান্য সকল নির্দেশ অপেক্ষা বেশি নির্দেশ ( ৮২ বার) দিয়েছেন । অর্থাৎ মানুষ যেন সদাই স্মরন করে
কোর-আনে নামাযের নির্দেশ ঃ
১) জামাতে ( একত্রে ) নামায পড়ার নির্দেশ = ২:৪৩
২) মক্কার কাবারগৃহে নামায পড়ার নির্দেশ = ২:১২৫
৩) সং ক্ষিপ্ত ভাবে নামায পড়ার নির্দেশ = ৪:১০১—৩
৪) দৈনিক পাচ বার নামায পড়ার নির্দেশ = ১৭:৭৮,৭৯
৫) স্পষ্ট ও মাঝামাঝি স্বরে নামায পড়ার নির্দেশ : ১৭:১১০,৭৩:১-৬
৬) নামাযে বিনীত ও নম্র হওয়ার নির্দেশ : ২৩:২
৭) নামায সম্পর্কে যত্নবান হওয়ার নির্দেশঃ ২৩:৯
৮) মানুষের কাজ যেন নামাযকে ভুলিয়ে না দেয় : ২৪:৩৭
৯) নামায মানুষকে কদর্যতা ও অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখে : ২৯:৪৫
১০) শুক্রবারের জুমার নামায পড়ার নির্দেশ : ৬২:৯
১১) লোক দেখানো নামায পড়া নিষেধ : ১০৭:৪-৬
♦পাচ ওয়াক্ত নামাযের সময় সূচি ♦
১) ফজরের নামায : সূর্য ওঠার আগে প্রভাত কালীন নামায
( কোর-আনে - ৭:২০৫;২০:১৩০;৩০:১৭;৩৩:৪২;৫০:৩৯;৫২:৪৮;৭৬:২৫)
২) জোহর নামায : মধ্যাহ্ন এর সময় সূর্য যখন ঢলে পড়ে তখন জোহরের সময় হয়
৩) আসর নামায : বিকেলের নামায । ৩ টা থেকে শুরু হয় ।
( কোর-আন = ৩০:১৮,৫০:৩৯)
৪) মাগরিব এর নামায : সূর্যাস্ত এর সাথে সাথে যে নামায হয়
( কোর-আনে = ৭:২০৫,২০:১৩০,৩০:১৭)
৫) এশার নামায : রাত্রির প্রথামাংশের নামায । অর্থাৎ সূর্যের সম্পূর্ণ অস্ত হওয়ার পর যে নামায পরা হয়।
( কোর-আনে = ৫২:৪৯,৭৬:২৬)
♦ অন্যান্য নামায ♦
→জুমার নামায : প্রতি শুক্রবারের জোহরের নামাযের পরিবর্তন করে সকলে একত্রিত হয়ে যে নামায পড়া হয় । ( কোর-আনে ৬২:৯)
→তাহাজ্জুদ নামায : মধ্য রাতের পর যে অতিরিক্ত নামায পড়া হয় ।
( কোর-আনে = ১৭:৭৯,৭৩:২০)
→ ঈদের নামায : ঈদুল ফেতর ও ঈদুল আজহার নামায । যাকে বলা হয় ঈদ ও বকরি ঈদের নামায । সকাল থেকে বেলা ১১:০০ পর্যন্ত পড়া হয়ে থাকে ।
( কোর-আনে = ২:১৮৩,২২:২৬ ও ২৮, ১০৮:২)
→ জানাযার নামায : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়ার নামায ।
→ এশরাকের নামায : সূয্য ওঠার পরের নামায । এশরাক এর শব্দের অর্থ আলোকিত হওয়া , তাই জগত আলোকিত হওয়ার পর এ নামায পরতে হয়
→ চাশতের নামায : বেশ একটু বেলা হলে যে নামায পড়া হয় । চাশত ফারসি শব্দ । আরবী যোহা । আমাদের দেশে যোহার নামায কেউ বলে না । যেমন - সাল্লাত আরবি শব্দ না বলে এই দেশে সকলে বলে থাকে নামায
→ সূর্য ও চন্দ্র গ্রহনের নামায : চন্দ্র,সূর্য গ্রহণ হলে মহানবি আল্লাহতালা কে স্মরন করতে বলেছেন । কেনন কেয়ামত এর সময় সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণ হবে
→ ইস্তেস্কার নামায : আরবী ' ইস্তেসকার' শব্দের অর্থ পানি চাওয়া । কোন সময় দেশে পানি না হলে মুসলমান গণ নামায সহকারে আল্লাহর নিকট পানি ভিক্কা করা এটাই ইস্তেসকা
→ এস্তেখারার নামায : এস্তেখারা আরবী শব্দ, এর অর্থ কোন জিনিস এর ভাল দিকটা খোজা । নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট মংগল দিকটা জানতে চাওয়া । এটা মহানবীর প্রিয় ছিল ।
( কোর-আনে = ২:২৩)
→তওবা নামায : পাপ করে চরম অনুশোচন সাথে যে নামায পড়া হয় .
আশুরার নামায : ১০ ঈ মহরম তারিখে ঈমাম হোসেন ( রাঃ ) কারবালায় শহিদ হন । তাদের আত্মার মংগল কামনার নামায
নামায ফারাসী সব্দ । আরবী সালাত অর্থাৎ দোয়া বা প্রার্থনা । ইসলাম ধর্মে অনুষ্ঠনগত ধর্মিও অনুশাসনে র মধ্যে প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য প্রতিদিন ৫ বার নামায অতি অবশ্যই পালনীয় এবং অন্যান্য অনুশাসনের মধ্যে এটাই প্রধান অনুশাসন । মহানবি এক বারও এটাকে বাদ দেন্নি । এমনকি মৃত্যুর পুর্ব মুহূর্তেও তার পবিত্র মূখ দিয়ে যে দূটো কথা বের হয়েছিল তাহল - " নামায " ও " গরিব মানুষ" । আল্লাহ তার আপন বাণী পবিত্র কোর-আনে অন্যান্য সকল নির্দেশ অপেক্ষা বেশি নির্দেশ ( ৮২ বার) দিয়েছেন । অর্থাৎ মানুষ যেন সদাই স্মরন করে
কোর-আনে নামাযের নির্দেশ ঃ
১) জামাতে ( একত্রে ) নামায পড়ার নির্দেশ = ২:৪৩
২) মক্কার কাবারগৃহে নামায পড়ার নির্দেশ = ২:১২৫
৩) সং ক্ষিপ্ত ভাবে নামায পড়ার নির্দেশ = ৪:১০১—৩
৪) দৈনিক পাচ বার নামায পড়ার নির্দেশ = ১৭:৭৮,৭৯
৫) স্পষ্ট ও মাঝামাঝি স্বরে নামায পড়ার নির্দেশ : ১৭:১১০,৭৩:১-৬
৬) নামাযে বিনীত ও নম্র হওয়ার নির্দেশ : ২৩:২
৭) নামায সম্পর্কে যত্নবান হওয়ার নির্দেশঃ ২৩:৯
৮) মানুষের কাজ যেন নামাযকে ভুলিয়ে না দেয় : ২৪:৩৭
৯) নামায মানুষকে কদর্যতা ও অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখে : ২৯:৪৫
১০) শুক্রবারের জুমার নামায পড়ার নির্দেশ : ৬২:৯
১১) লোক দেখানো নামায পড়া নিষেধ : ১০৭:৪-৬
♦পাচ ওয়াক্ত নামাযের সময় সূচি ♦
১) ফজরের নামায : সূর্য ওঠার আগে প্রভাত কালীন নামায
( কোর-আনে - ৭:২০৫;২০:১৩০;৩০:১৭;৩৩:৪২;৫০:৩৯;৫২:৪৮;৭৬:২৫)
২) জোহর নামায : মধ্যাহ্ন এর সময় সূর্য যখন ঢলে পড়ে তখন জোহরের সময় হয়
৩) আসর নামায : বিকেলের নামায । ৩ টা থেকে শুরু হয় ।
( কোর-আন = ৩০:১৮,৫০:৩৯)
৪) মাগরিব এর নামায : সূর্যাস্ত এর সাথে সাথে যে নামায হয়
( কোর-আনে = ৭:২০৫,২০:১৩০,৩০:১৭)
৫) এশার নামায : রাত্রির প্রথামাংশের নামায । অর্থাৎ সূর্যের সম্পূর্ণ অস্ত হওয়ার পর যে নামায পরা হয়।
( কোর-আনে = ৫২:৪৯,৭৬:২৬)
♦ অন্যান্য নামায ♦
→জুমার নামায : প্রতি শুক্রবারের জোহরের নামাযের পরিবর্তন করে সকলে একত্রিত হয়ে যে নামায পড়া হয় । ( কোর-আনে ৬২:৯)
→তাহাজ্জুদ নামায : মধ্য রাতের পর যে অতিরিক্ত নামায পড়া হয় ।
( কোর-আনে = ১৭:৭৯,৭৩:২০)
→ ঈদের নামায : ঈদুল ফেতর ও ঈদুল আজহার নামায । যাকে বলা হয় ঈদ ও বকরি ঈদের নামায । সকাল থেকে বেলা ১১:০০ পর্যন্ত পড়া হয়ে থাকে ।
( কোর-আনে = ২:১৮৩,২২:২৬ ও ২৮, ১০৮:২)
→ জানাযার নামায : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়ার নামায ।
→ এশরাকের নামায : সূয্য ওঠার পরের নামায । এশরাক এর শব্দের অর্থ আলোকিত হওয়া , তাই জগত আলোকিত হওয়ার পর এ নামায পরতে হয়
→ চাশতের নামায : বেশ একটু বেলা হলে যে নামায পড়া হয় । চাশত ফারসি শব্দ । আরবী যোহা । আমাদের দেশে যোহার নামায কেউ বলে না । যেমন - সাল্লাত আরবি শব্দ না বলে এই দেশে সকলে বলে থাকে নামায
→ সূর্য ও চন্দ্র গ্রহনের নামায : চন্দ্র,সূর্য গ্রহণ হলে মহানবি আল্লাহতালা কে স্মরন করতে বলেছেন । কেনন কেয়ামত এর সময় সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণ হবে
→ ইস্তেস্কার নামায : আরবী ' ইস্তেসকার' শব্দের অর্থ পানি চাওয়া । কোন সময় দেশে পানি না হলে মুসলমান গণ নামায সহকারে আল্লাহর নিকট পানি ভিক্কা করা এটাই ইস্তেসকা
→ এস্তেখারার নামায : এস্তেখারা আরবী শব্দ, এর অর্থ কোন জিনিস এর ভাল দিকটা খোজা । নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট মংগল দিকটা জানতে চাওয়া । এটা মহানবীর প্রিয় ছিল ।
( কোর-আনে = ২:২৩)
→তওবা নামায : পাপ করে চরম অনুশোচন সাথে যে নামায পড়া হয় .
আশুরার নামায : ১০ ঈ মহরম তারিখে ঈমাম হোসেন ( রাঃ ) কারবালায় শহিদ হন । তাদের আত্মার মংগল কামনার নামায
Subscribe to:
Posts (Atom)