♦বিসমিল্লাহ হিররাহমানির রাহিম ♦
নামায ফারাসী সব্দ । আরবী সালাত অর্থাৎ দোয়া বা প্রার্থনা । ইসলাম ধর্মে অনুষ্ঠনগত ধর্মিও অনুশাসনে র মধ্যে প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য প্রতিদিন ৫ বার নামায অতি অবশ্যই পালনীয় এবং অন্যান্য অনুশাসনের মধ্যে এটাই প্রধান অনুশাসন । মহানবি এক বারও এটাকে বাদ দেন্নি । এমনকি মৃত্যুর পুর্ব মুহূর্তেও তার পবিত্র মূখ দিয়ে যে দূটো কথা বের হয়েছিল তাহল - " নামায " ও " গরিব মানুষ" । আল্লাহ তার আপন বাণী পবিত্র কোর-আনে অন্যান্য সকল নির্দেশ অপেক্ষা বেশি নির্দেশ ( ৮২ বার) দিয়েছেন । অর্থাৎ মানুষ যেন সদাই স্মরন করে
কোর-আনে নামাযের নির্দেশ ঃ
১) জামাতে ( একত্রে ) নামায পড়ার নির্দেশ = ২:৪৩
২) মক্কার কাবারগৃহে নামায পড়ার নির্দেশ = ২:১২৫
৩) সং ক্ষিপ্ত ভাবে নামায পড়ার নির্দেশ = ৪:১০১—৩
৪) দৈনিক পাচ বার নামায পড়ার নির্দেশ = ১৭:৭৮,৭৯
৫) স্পষ্ট ও মাঝামাঝি স্বরে নামায পড়ার নির্দেশ : ১৭:১১০,৭৩:১-৬
৬) নামাযে বিনীত ও নম্র হওয়ার নির্দেশ : ২৩:২
৭) নামায সম্পর্কে যত্নবান হওয়ার নির্দেশঃ ২৩:৯
৮) মানুষের কাজ যেন নামাযকে ভুলিয়ে না দেয় : ২৪:৩৭
৯) নামায মানুষকে কদর্যতা ও অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখে : ২৯:৪৫
১০) শুক্রবারের জুমার নামায পড়ার নির্দেশ : ৬২:৯
১১) লোক দেখানো নামায পড়া নিষেধ : ১০৭:৪-৬
♦পাচ ওয়াক্ত নামাযের সময় সূচি ♦
১) ফজরের নামায : সূর্য ওঠার আগে প্রভাত কালীন নামায
( কোর-আনে - ৭:২০৫;২০:১৩০;৩০:১৭;৩৩:৪২;৫০:৩৯;৫২:৪৮;৭৬:২৫)
২) জোহর নামায : মধ্যাহ্ন এর সময় সূর্য যখন ঢলে পড়ে তখন জোহরের সময় হয়
৩) আসর নামায : বিকেলের নামায । ৩ টা থেকে শুরু হয় ।
( কোর-আন = ৩০:১৮,৫০:৩৯)
৪) মাগরিব এর নামায : সূর্যাস্ত এর সাথে সাথে যে নামায হয়
( কোর-আনে = ৭:২০৫,২০:১৩০,৩০:১৭)
৫) এশার নামায : রাত্রির প্রথামাংশের নামায । অর্থাৎ সূর্যের সম্পূর্ণ অস্ত হওয়ার পর যে নামায পরা হয়।
( কোর-আনে = ৫২:৪৯,৭৬:২৬)
♦ অন্যান্য নামায ♦
→জুমার নামায : প্রতি শুক্রবারের জোহরের নামাযের পরিবর্তন করে সকলে একত্রিত হয়ে যে নামায পড়া হয় । ( কোর-আনে ৬২:৯)
→তাহাজ্জুদ নামায : মধ্য রাতের পর যে অতিরিক্ত নামায পড়া হয় ।
( কোর-আনে = ১৭:৭৯,৭৩:২০)
→ ঈদের নামায : ঈদুল ফেতর ও ঈদুল আজহার নামায । যাকে বলা হয় ঈদ ও বকরি ঈদের নামায । সকাল থেকে বেলা ১১:০০ পর্যন্ত পড়া হয়ে থাকে ।
( কোর-আনে = ২:১৮৩,২২:২৬ ও ২৮, ১০৮:২)
→ জানাযার নামায : মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়ার নামায ।
→ এশরাকের নামায : সূয্য ওঠার পরের নামায । এশরাক এর শব্দের অর্থ আলোকিত হওয়া , তাই জগত আলোকিত হওয়ার পর এ নামায পরতে হয়
→ চাশতের নামায : বেশ একটু বেলা হলে যে নামায পড়া হয় । চাশত ফারসি শব্দ । আরবী যোহা । আমাদের দেশে যোহার নামায কেউ বলে না । যেমন - সাল্লাত আরবি শব্দ না বলে এই দেশে সকলে বলে থাকে নামায
→ সূর্য ও চন্দ্র গ্রহনের নামায : চন্দ্র,সূর্য গ্রহণ হলে মহানবি আল্লাহতালা কে স্মরন করতে বলেছেন । কেনন কেয়ামত এর সময় সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণ হবে
→ ইস্তেস্কার নামায : আরবী ' ইস্তেসকার' শব্দের অর্থ পানি চাওয়া । কোন সময় দেশে পানি না হলে মুসলমান গণ নামায সহকারে আল্লাহর নিকট পানি ভিক্কা করা এটাই ইস্তেসকা
→ এস্তেখারার নামায : এস্তেখারা আরবী শব্দ, এর অর্থ কোন জিনিস এর ভাল দিকটা খোজা । নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট মংগল দিকটা জানতে চাওয়া । এটা মহানবীর প্রিয় ছিল ।
( কোর-আনে = ২:২৩)
→তওবা নামায : পাপ করে চরম অনুশোচন সাথে যে নামায পড়া হয় .
আশুরার নামায : ১০ ঈ মহরম তারিখে ঈমাম হোসেন ( রাঃ ) কারবালায় শহিদ হন । তাদের আত্মার মংগল কামনার নামায
Monday, May 20, 2013
শান্তির পথ
→
Salah(Namaz)
→ নামাজ এর মৌলিক ধারনা। পর্ব-১
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment