ﺓاللحم افتح لي أبواب ﺩﺣﻤﺘﻚ
উচ্চারণঃ আল্ল-হুম্মাহ তাহ্্লী আবওয়া-বা রহমাতিকা।
অর্থঃ হে আল্ল-হ! তুমি আমার জন্য তোমার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দাও।
বের হওয়ার দো'আঃ
اللهة إني اسألك من ﻓﻀﻠﻚ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্'আলুকা মিন ফায্ লিকা।
অর্থঃ হে আল্ল-হ ! অবশ্যই আমি তোমার অনুগ্রহ আশা করছি।
—( মুসলিম, মিশকাত : হাঃ ৬৫১ )
Sunday, June 30, 2013
আযান
আযান কি এবং কেন ?
___________
নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর বিখ্যাত মেরাজের সময় হতে দৈনিক পাঁচবার নামায নির্ধারিত হয়। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামায মদিনাতে মুসলমানদের জন্য যথাযথ বিধিতে পরিণত হয়। মক্কাতে এই বিধি এভাবে দৃঢ়তা পায়নি, তার একমাত্র কারণ কুরাইশদের বিরামহীন অত্যাচার। মহান ইসলামের যে বীজ একদিন মক্কায় রোপিত হলো, তা ধীরে ধীরে মদিনায় লালন-পালন হতে থাকল। তাই বলা হয়, ইসলামের জন্ম মক্কায়, লালন মদিনায় ও সমাধি দামাস্কাসে। মদিনাতে সেই লালনের পালা আরম্ভ হলো। নামাযে মুসলমানদের আহবান করার প্রয়োজন বোধ করলেন সকলেই। তাই কেউ বললেন- ইহুদীদের মতো তুরী বাজানো হোক,কেউ বা বললেন ইংরেজদের মতো ঘন্টা বাজানো হক। কিন্তু মুসলমানরা কোনটাতেই খুশি হতে পারলেন না।
অবশেষে স্বপ্নাদিষ্ট হযরত ওমরের পরামর্শে নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নির্দেশ দিলেন- মুখে আহবান করো নামাযীগণকে এবং এটাই সবশ্রেষ্ঠ পন্থা বলে বিবেচিত হলো। মসজিদে নববীর নিকটে বানু নাজ্জার গোত্রের এক মহিলার বাড়ি ছিল। হযরত বেলাল (রাঃ) সেই বাড়ির উপরে উঠে সকলকে নামাযের জন্য জোর আওয়াজে আহবান জানাতে থাকলেন। এই আহবান হচ্ছে আযান।
প্রত্যেক ফারয্ সলাতের ওয়াক্তে আযান দেয়া সুন্নাত। রসূলুল্ল-হ (সাঃ) বলেছেন, সলাতের ওয়াক্ত হলে আযান দিবে।
—( বুখারী : হাঃ ৫৬৯ )
ক্বিবলার দিকে মুখ করে শাহাদাত আংগুলদ্বয় কানের ভিতর প্রবেশ করে আযান দিতে হবে।
—( মিশকাত : হাঃ ৬০২ )
আযান আরবি ভাষায়
__________________
অর্থঃ আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লহর রসূল। সলাতের জন্য এসো। সলাতের জন্য এসো। কল্যাণ এর জন্য এসো, মুক্তির জন্য এসো। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।
—( মুসলিম : হাঃ ৭৪৯ )
ফাজরের আযান
-র পরে
(অর্থাৎ নিদ্রা হতে সলাত উত্তম) বলতে হবে।
—( মিশকাত : হাঃ ৬০১ )
আজানের জওয়াবঃ আযানের জওয়াবে মুয়াজ্জিন যা বলবেন শ্রোতারাও অনুরূপভাবে বলবে। শুধুমাত্র ও স্থলে "লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লাহ" বলবে।
—( বুখারী : হাঃ ৫৭৮)
অতঃপর মুয়াজ্জিন ও শ্রবণকারী উভয়ই দুরূদে ইব্রাহিম পড়বে ( যে দুরূদ সালাম ফিরানোর বৈঠকে আত্তাহিয়াতু এর পর পড়তে হয়।)।
অতঃপর রসূল (সাঃ)- এর জন্য ওয়াসীলাহ্ চাইতে হয়। কারণ, যে ব্যক্তি ওয়াসীলাহ্ চায় তার জন্য রসূল (সাঃ)-এর শাফা'আত হালাল হয়ে যায়।
আযানের পর দো'আ
____________
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা'ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস্ সলা-তিল ক্ব-য়িমাতি আ-তি মুহাম্মদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাযীলাতা ওয়াবা'আস্হু মাক্ব-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া'আদতাহু।
অর্থঃ এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত নামাযের প্রভু হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (সাঃ)-কে জান্নাতের সম্মানিত স্থান, ওয়াসীলাহ্ ও মর্যাদা দান কর এবং তাকে মাকামে মাহমুদে পৌঁছে দাও, যে বিষয় তুমি পূর্বেই ওয়া'দা করেছ।
—( বুখারী : হাঃ ৫৭৯ )
___________
নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর বিখ্যাত মেরাজের সময় হতে দৈনিক পাঁচবার নামায নির্ধারিত হয়। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামায মদিনাতে মুসলমানদের জন্য যথাযথ বিধিতে পরিণত হয়। মক্কাতে এই বিধি এভাবে দৃঢ়তা পায়নি, তার একমাত্র কারণ কুরাইশদের বিরামহীন অত্যাচার। মহান ইসলামের যে বীজ একদিন মক্কায় রোপিত হলো, তা ধীরে ধীরে মদিনায় লালন-পালন হতে থাকল। তাই বলা হয়, ইসলামের জন্ম মক্কায়, লালন মদিনায় ও সমাধি দামাস্কাসে। মদিনাতে সেই লালনের পালা আরম্ভ হলো। নামাযে মুসলমানদের আহবান করার প্রয়োজন বোধ করলেন সকলেই। তাই কেউ বললেন- ইহুদীদের মতো তুরী বাজানো হোক,কেউ বা বললেন ইংরেজদের মতো ঘন্টা বাজানো হক। কিন্তু মুসলমানরা কোনটাতেই খুশি হতে পারলেন না।
অবশেষে স্বপ্নাদিষ্ট হযরত ওমরের পরামর্শে নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নির্দেশ দিলেন- মুখে আহবান করো নামাযীগণকে এবং এটাই সবশ্রেষ্ঠ পন্থা বলে বিবেচিত হলো। মসজিদে নববীর নিকটে বানু নাজ্জার গোত্রের এক মহিলার বাড়ি ছিল। হযরত বেলাল (রাঃ) সেই বাড়ির উপরে উঠে সকলকে নামাযের জন্য জোর আওয়াজে আহবান জানাতে থাকলেন। এই আহবান হচ্ছে আযান।
প্রত্যেক ফারয্ সলাতের ওয়াক্তে আযান দেয়া সুন্নাত। রসূলুল্ল-হ (সাঃ) বলেছেন, সলাতের ওয়াক্ত হলে আযান দিবে।
—( বুখারী : হাঃ ৫৬৯ )
ক্বিবলার দিকে মুখ করে শাহাদাত আংগুলদ্বয় কানের ভিতর প্রবেশ করে আযান দিতে হবে।
—( মিশকাত : হাঃ ৬০২ )
আযান আরবি ভাষায়
__________________
অর্থঃ আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লহর রসূল। সলাতের জন্য এসো। সলাতের জন্য এসো। কল্যাণ এর জন্য এসো, মুক্তির জন্য এসো। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।
—( মুসলিম : হাঃ ৭৪৯ )
ফাজরের আযান
-র পরে
(অর্থাৎ নিদ্রা হতে সলাত উত্তম) বলতে হবে।
—( মিশকাত : হাঃ ৬০১ )
আজানের জওয়াবঃ আযানের জওয়াবে মুয়াজ্জিন যা বলবেন শ্রোতারাও অনুরূপভাবে বলবে। শুধুমাত্র ও স্থলে "লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লাহ" বলবে।
—( বুখারী : হাঃ ৫৭৮)
অতঃপর মুয়াজ্জিন ও শ্রবণকারী উভয়ই দুরূদে ইব্রাহিম পড়বে ( যে দুরূদ সালাম ফিরানোর বৈঠকে আত্তাহিয়াতু এর পর পড়তে হয়।)।
অতঃপর রসূল (সাঃ)- এর জন্য ওয়াসীলাহ্ চাইতে হয়। কারণ, যে ব্যক্তি ওয়াসীলাহ্ চায় তার জন্য রসূল (সাঃ)-এর শাফা'আত হালাল হয়ে যায়।
আযানের পর দো'আ
____________
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা'ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস্ সলা-তিল ক্ব-য়িমাতি আ-তি মুহাম্মদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাযীলাতা ওয়াবা'আস্হু মাক্ব-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া'আদতাহু।
অর্থঃ এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত নামাযের প্রভু হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (সাঃ)-কে জান্নাতের সম্মানিত স্থান, ওয়াসীলাহ্ ও মর্যাদা দান কর এবং তাকে মাকামে মাহমুদে পৌঁছে দাও, যে বিষয় তুমি পূর্বেই ওয়া'দা করেছ।
—( বুখারী : হাঃ ৫৭৯ )
Friday, June 28, 2013
যুবকদের এবং যুবতীদের জন্য জানা জরুরি
প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের জানা যা জরুরি
____________________
প্রসাবের রাস্তা দিয়ে প্রসাব ছাড়াও আরো তিন রকম তরল পদার্থ বের হয়– যাকে আরবিতে মনী,মযী ও অদী বলে । এই তিনটির মধ্যে মযী ও অদী বের হলে গোসল ফরয হয় না । বরং প্রসাবের রাস্তা এবং শরীরের কোন জায়গায় বা কাপড়ে ঐ পদার্থ লাগলে তা ধুয়ে ফেলতে হবে । ওযূ অবস্থায় ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে ।
১)মযীঃ যৌন উত্তেজনার সময় বিনা বেগে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে সাদা আঠা যুক্ত যে পানি বের হয় তাকেই মযী বলে । কখনো বিনা অনুভূতিতেও এই পানি বের হয় । সাধারণতঃ যুবক ও সক্তিশালী লোকদের যৌন উত্তেজনার সময় এটা বের হয় । এই মযী সম্বন্ধে রসূলুল্ল-হ (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ এর জন্য ওযূ যথেষ্ট ।
—( মুসলিম : হাদিস ৬০৩ )
আর কাপড়ে লাগলে যেখানে লাগবে সেখানে এক আঁজলা (দুই হাতের তালু) পানি দিয়ে ধুয়ে দাও ।
—(তিরমিযী : হাদিস ১১০)
২)অদীঃ প্রস্রাবের পূর্বে কিংবা পরে যে গাঢ় সাদা পানি বের হয় তাকে বলে অদী। অদী সম্পর্কে 'আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন : প্রস্রাবের পর অদী বের হলে লিংগ ও অন্ডকোষ দু'টি ধুতে হবে এবং ওযূ করতে হবে। গোসল করতে হবে না । ইবন 'আব্বাসও তাই বলেন ।
—( বাইহাকী ১ম খন্ড ১১৫ পৃষ্ঠা ও ইবনুল মুনযির, ফিকহুস সুন্নাহ ১ম খন্ড ২৬ পৃষ্ঠা বরাতে আইনী তুহফা সলাতে মুস্তাফা ১ম খন্ড ২০-২১ পৃষ্ঠা )
৩) মনীঃ উত্তেজনার চূরান্ত পর্যায়ে লাম্ফ দিয়ে যে তরল পদার্থ প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বের হয় তাকে মনী বা বীর্য বলে। বীর্য যদি কোনোরূপ বৈধ বা অবৈধ উপায়ও 'সবেগে' বের হয়, তাহলে গোসল ফরয হয় ।
—( তিরমিযী : হাদিস ১০৯ )
প্রাপ্তবয়স্কা মহিলাদের জন্য জানা একান্ত জুরুরি
____________________
প্রাপ্তবয়স্কা নারীদের প্রত্যেক মাসেই কয়েক দিন করে স্বাভাবিকভাবে যে রক্তস্রাব হয় তাকে মাসিক বা হায়িয বলে । কত বছর বয়সে এই রক্তস্রাব আরম্ভ হবে হাদীসে তার কোন বিবরণ নেই । মেয়েদের যৌবনের সর্বপ্রথম যে কয় দিন রক্তস্রাব হয় সি কয় দিনকেই হায়িযের সময়সীমা ধরে নিতে হবে ।
আর যদি তার প্রথম যৌবনে যে কয়দিন হায়িয হয়েছিল পরের সময়গুলিতে তার পূর্ব দিনগুলো ছাড়িয়ে যায় তবে পূর্বের হিসাবের দিন বাদ দিয়ে অতিরিক্ত দিনগুলোতে গোসল করে সলাত আদায় করতে হবে ।
—( তিরমিযী : হাদিস ১২৩ )
মেয়েদের প্রথম যৌবনে কতদিন স্রাব হয়েছিল তা যদি মনে না থাকে তবে তারা ৬ অথবা ৭ দিন হায়িয ধরে নিয়ে অবশিষ্ট দিনগুলিতে গোসল করে সলাত করে সলাত আদায় করবে ।
—( মিশকাত : হাদিস ৫১৬ )
যে কয়দিন হায়িয থাকবে সে দিনগুলোর নামাজ মাফ, কিন্তু হায়িয অবস্থায় রমাযানের সিয়াম ( রোযা ) না রেখে অন্য মাসে তা আদায় করতে হবে ।
—( মুসলিম : হাদিস ৬৬৯ )
নিফাস
__________
স্ত্রীলোকের সন্তান প্রসবের পর যে রক্তস্রাব হয় তাকে নিফাস বলে । নিফাসের সর্বোচ্চ সময় সীমা ৪০ দিন আর কমের কোন সীমা নেই ।
যখনই রক্তস্রাব বন্ধ হবে গোসল করে সলাত আদায় এবং সিয়াম পালন করতে হবে । নিফাস বন্ধ হবার পরও ৪০ দিন পুরো করার উদ্দেশ্যে সলাত ও সিয়াম (রোযা) বাদ দিলে শক্ত গুনাহগার হতে হবে ।
—( আইনী তুহফা সলাতে মুস্তাফা- আহলে হাদীস লাইব্রেরী ঢাকা ছাপা, ১ম খন্ড, ৬০ পৃষ্ঠা )
হায়িযের অবস্থায় যা নিষিদ্ধ নিফাসের অবস্থায়ও সে সব নিষিদ্ধ ।
ইসতিহাযা
___________
হায়িয ও নিফাসের সময় অতিক্রান্ত হবার পরও যে রক্তস্রাব হতে থাকে তাকেই আরবিতে ইসতিহাযা বলে । বাংলা ভাষায় তাকে প্রদর রোগ বলা হয় ।
মুস্তাহাযা ( যার ইসতিহাযা "প্রদর" বা "দৃষ্টি রোগ" হয়েছে ) স্ত্রীলোক পবিত্র স্ত্রীলোকের মত ।
হায়িযের ক্ষেত্রে যৌবনের প্রথম হায়িযকালে, কিংবা তা মনে না থাকলে ৬/৭ দিন এবং ৪০ দিনের পর শরীরের অংগ বিশেষ হতে রক্ত ধুয়ে ফেলে গোসল করে সলাত ইত্যাদি সমাধা করবে ।
—( তিরমিযী : হাদিস ১২৩ )
যার ইসতিহাযা হয়েছে সে এক গোসলে যুহরের ও 'আসর একত্রে, মাগরিব ও 'ইশা একত্রে আর এক গোসলে ফাজরের সলাত আদায় করবে এবং সে অবস্থায় সিয়াম ( রোযা) রাখতে পারবে ।
— ( মিশকাত : ৫১৬ )
____________________
প্রসাবের রাস্তা দিয়ে প্রসাব ছাড়াও আরো তিন রকম তরল পদার্থ বের হয়– যাকে আরবিতে মনী,মযী ও অদী বলে । এই তিনটির মধ্যে মযী ও অদী বের হলে গোসল ফরয হয় না । বরং প্রসাবের রাস্তা এবং শরীরের কোন জায়গায় বা কাপড়ে ঐ পদার্থ লাগলে তা ধুয়ে ফেলতে হবে । ওযূ অবস্থায় ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে ।
১)মযীঃ যৌন উত্তেজনার সময় বিনা বেগে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে সাদা আঠা যুক্ত যে পানি বের হয় তাকেই মযী বলে । কখনো বিনা অনুভূতিতেও এই পানি বের হয় । সাধারণতঃ যুবক ও সক্তিশালী লোকদের যৌন উত্তেজনার সময় এটা বের হয় । এই মযী সম্বন্ধে রসূলুল্ল-হ (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ এর জন্য ওযূ যথেষ্ট ।
—( মুসলিম : হাদিস ৬০৩ )
আর কাপড়ে লাগলে যেখানে লাগবে সেখানে এক আঁজলা (দুই হাতের তালু) পানি দিয়ে ধুয়ে দাও ।
—(তিরমিযী : হাদিস ১১০)
২)অদীঃ প্রস্রাবের পূর্বে কিংবা পরে যে গাঢ় সাদা পানি বের হয় তাকে বলে অদী। অদী সম্পর্কে 'আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন : প্রস্রাবের পর অদী বের হলে লিংগ ও অন্ডকোষ দু'টি ধুতে হবে এবং ওযূ করতে হবে। গোসল করতে হবে না । ইবন 'আব্বাসও তাই বলেন ।
—( বাইহাকী ১ম খন্ড ১১৫ পৃষ্ঠা ও ইবনুল মুনযির, ফিকহুস সুন্নাহ ১ম খন্ড ২৬ পৃষ্ঠা বরাতে আইনী তুহফা সলাতে মুস্তাফা ১ম খন্ড ২০-২১ পৃষ্ঠা )
৩) মনীঃ উত্তেজনার চূরান্ত পর্যায়ে লাম্ফ দিয়ে যে তরল পদার্থ প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বের হয় তাকে মনী বা বীর্য বলে। বীর্য যদি কোনোরূপ বৈধ বা অবৈধ উপায়ও 'সবেগে' বের হয়, তাহলে গোসল ফরয হয় ।
—( তিরমিযী : হাদিস ১০৯ )
প্রাপ্তবয়স্কা মহিলাদের জন্য জানা একান্ত জুরুরি
____________________
প্রাপ্তবয়স্কা নারীদের প্রত্যেক মাসেই কয়েক দিন করে স্বাভাবিকভাবে যে রক্তস্রাব হয় তাকে মাসিক বা হায়িয বলে । কত বছর বয়সে এই রক্তস্রাব আরম্ভ হবে হাদীসে তার কোন বিবরণ নেই । মেয়েদের যৌবনের সর্বপ্রথম যে কয় দিন রক্তস্রাব হয় সি কয় দিনকেই হায়িযের সময়সীমা ধরে নিতে হবে ।
আর যদি তার প্রথম যৌবনে যে কয়দিন হায়িয হয়েছিল পরের সময়গুলিতে তার পূর্ব দিনগুলো ছাড়িয়ে যায় তবে পূর্বের হিসাবের দিন বাদ দিয়ে অতিরিক্ত দিনগুলোতে গোসল করে সলাত আদায় করতে হবে ।
—( তিরমিযী : হাদিস ১২৩ )
মেয়েদের প্রথম যৌবনে কতদিন স্রাব হয়েছিল তা যদি মনে না থাকে তবে তারা ৬ অথবা ৭ দিন হায়িয ধরে নিয়ে অবশিষ্ট দিনগুলিতে গোসল করে সলাত করে সলাত আদায় করবে ।
—( মিশকাত : হাদিস ৫১৬ )
যে কয়দিন হায়িয থাকবে সে দিনগুলোর নামাজ মাফ, কিন্তু হায়িয অবস্থায় রমাযানের সিয়াম ( রোযা ) না রেখে অন্য মাসে তা আদায় করতে হবে ।
—( মুসলিম : হাদিস ৬৬৯ )
নিফাস
__________
স্ত্রীলোকের সন্তান প্রসবের পর যে রক্তস্রাব হয় তাকে নিফাস বলে । নিফাসের সর্বোচ্চ সময় সীমা ৪০ দিন আর কমের কোন সীমা নেই ।
যখনই রক্তস্রাব বন্ধ হবে গোসল করে সলাত আদায় এবং সিয়াম পালন করতে হবে । নিফাস বন্ধ হবার পরও ৪০ দিন পুরো করার উদ্দেশ্যে সলাত ও সিয়াম (রোযা) বাদ দিলে শক্ত গুনাহগার হতে হবে ।
—( আইনী তুহফা সলাতে মুস্তাফা- আহলে হাদীস লাইব্রেরী ঢাকা ছাপা, ১ম খন্ড, ৬০ পৃষ্ঠা )
হায়িযের অবস্থায় যা নিষিদ্ধ নিফাসের অবস্থায়ও সে সব নিষিদ্ধ ।
ইসতিহাযা
___________
হায়িয ও নিফাসের সময় অতিক্রান্ত হবার পরও যে রক্তস্রাব হতে থাকে তাকেই আরবিতে ইসতিহাযা বলে । বাংলা ভাষায় তাকে প্রদর রোগ বলা হয় ।
মুস্তাহাযা ( যার ইসতিহাযা "প্রদর" বা "দৃষ্টি রোগ" হয়েছে ) স্ত্রীলোক পবিত্র স্ত্রীলোকের মত ।
হায়িযের ক্ষেত্রে যৌবনের প্রথম হায়িযকালে, কিংবা তা মনে না থাকলে ৬/৭ দিন এবং ৪০ দিনের পর শরীরের অংগ বিশেষ হতে রক্ত ধুয়ে ফেলে গোসল করে সলাত ইত্যাদি সমাধা করবে ।
—( তিরমিযী : হাদিস ১২৩ )
যার ইসতিহাযা হয়েছে সে এক গোসলে যুহরের ও 'আসর একত্রে, মাগরিব ও 'ইশা একত্রে আর এক গোসলে ফাজরের সলাত আদায় করবে এবং সে অবস্থায় সিয়াম ( রোযা) রাখতে পারবে ।
— ( মিশকাত : ৫১৬ )
তায়াম্মুম
তায়াম্মুম কি?
____________
যদি কারও শরীর ভাল না থাকে এবং পানি না পায়, তবে তার জন্য গোসল বা ওজু করার প্রয়োজন নেই । তার পরিবর্তে সে তায়াম্মুম করতে পারে । তায়াম্মুম হলো– পবিত্র মাটি স্পর্শ যোগে পরিচ্ছন্ন হওয়া।
কোন কোন জিনিস দিয়ে তায়াম্মুম বৈধ হবে?
____________________
আল্লাহ বলেন—
" হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় উপাসনার নিকটবর্তী হয়ো না । যে পর্যন্ত তোমরা যা বল, তা বুঝতে না পার এবং যদি তোমরা পথচারী না হও, তবে অপবিত্র অবস্থাতেও নয়– যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা গোসল কর । তবে তোমরা পীড়িত হয়, অথবা সফরে থাক, অথবা তোমাদের মধ্যে কেউ পায়খানা থেকে আসে, অথবা তোমরা রমণী স্পর্শ ( সহবাস ) কর এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করবে এবং তার দ্বারা তোমাদের মুখ ও হাত মছে ফেল, নিশ্চই আল্লাহ পাপমোচনকারী, ক্ষমাশীল ।"
— ( সূরা আন’নিসা : ৪৩ )
'পবিত্র মাটি এবং তার ও শ্রেণীভুক্ত সকল বস্তু ( যেমনঃ পাথর,বালি,কাকর,সিমেন্ট প্রভৃতি) দ্বারা তায়াম্মুম শুদ্ধ। ধুলোযুক্ত মাটি না পাওয়া গেলে ধুলাহীন পাথর এবং বালিতে তায়াম্মুম বৈধ হবে ।
—( ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ, সউদী উলামা কমিটি ১/২১৮)
শুদ্ধতম হাদীসনুসারে তায়াম্মুম করার পদ্ধতি নিম্মরূপ :
__________________
( নিয়ত করে 'বিসমিল্লাহ্' বলে) দু'হাত মাটির উপর মারতে হবে। তারপর তুলে নিয়ে তার উপর ফুক দিয়ে অতিরিক্ত ধুলোবালি উড়িয়ে দিয়ে উভয় হাত দ্বারা মুখমণ্ডল মাসাহ করতে হবে । এরপর বাম হাত দ্বারা ডান হাতের কব্জি পর্যন্ত এবং শেষে ডান হাত দ্বারা বাম হাতের কব্জি পর্যন্ত মাসাহ করতে হবে ।
—( সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাতুল মাসাহীহ হাদিস নাম্বারঃ ৫২৮ )
তায়াম্মুম কিভাবে নষ্ট হয়?
__________________
যে যে কারণে ওযূ নষ্ট হয় ঠিক সে সে কারণে তায়াম্মুম নষ্ট হয়ে যায় । কারণ তায়াম্মুম হলো ওযূর বিকল্প । এছাড়া যে অসুবিধার কারণে তায়াম্মুম করা হয়েছিল, সে অসুবিধা দূর হয়ে গেলেই তায়াম্মুম শেষ হয়ে যায় । অসুখের কারণে করলে, অসুখ দূর হয়ে যাওয়ার পর পরই তার তায়াম্মুম থাকে না।
—( ফিকহুস সুন্নাহ উর্দু, ১/৬৩)
Wednesday, June 19, 2013
ওযু ভংগের কারণ সমূহ এবং না ভাংগার কারণসমূহ
ওযূ ভংগের কারণ সমূহ নিম্নে দেওয়া হল ।
১) প্রস্রাব ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হলে,
২) যে সকল কারণে গোসল ফারয হয় তা ঘটলে,
৩) বমি হলে,
৪) ঘুমিয়ে পড়লে,
৫) উটের গোশত খেলে,
৬) আবরণ ছাড়া যৌনাঙ্গে হাত স্পর্শ হলে,
৭) সংগাহীন হয়ে পড়লে,
৮) মাইয়িতের গোসল দিলে,
৯) মযী ( পাতলা বীর্য ) বের হলে ওযূ নষ্ট হয়ে যায়।
—( বুখারি হাদিস নাম্বার : ১৭৭; মুসলিম হাদিস নাম্বার : ৭৬, ৮০, ৮১ )
উল্লেখ্য , সলাত অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত বের হলে- ( বুখারি হাদিস নাম্বার : ১৩৪ ) এবং বিনা হেলানে তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে- ( তিরমিযী হাদিস নাম্বার : ৭৭ ) বাতকর্মের গন্ধ বা শব্দ না হলে, সলাত অবস্থায় নাপাকী লাগলে ওযূ নষ্ট হয় না ।( বুখারি হাদিস নাম্বার : ১৭২ )
১) প্রস্রাব ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হলে,
২) যে সকল কারণে গোসল ফারয হয় তা ঘটলে,
৩) বমি হলে,
৪) ঘুমিয়ে পড়লে,
৫) উটের গোশত খেলে,
৬) আবরণ ছাড়া যৌনাঙ্গে হাত স্পর্শ হলে,
৭) সংগাহীন হয়ে পড়লে,
৮) মাইয়িতের গোসল দিলে,
৯) মযী ( পাতলা বীর্য ) বের হলে ওযূ নষ্ট হয়ে যায়।
—( বুখারি হাদিস নাম্বার : ১৭৭; মুসলিম হাদিস নাম্বার : ৭৬, ৮০, ৮১ )
উল্লেখ্য , সলাত অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত বের হলে- ( বুখারি হাদিস নাম্বার : ১৩৪ ) এবং বিনা হেলানে তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে- ( তিরমিযী হাদিস নাম্বার : ৭৭ ) বাতকর্মের গন্ধ বা শব্দ না হলে, সলাত অবস্থায় নাপাকী লাগলে ওযূ নষ্ট হয় না ।( বুখারি হাদিস নাম্বার : ১৭২ )
Tuesday, June 18, 2013
শিরক
ভুমিকা
__________
মহান আল্লাহ তা'আলা মানুষকে একমাত্র তারই 'ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন । আল্লাহ বলেন :
" আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমারই ইবাদত করার জন্যে। "
— ৫১. সূরা আয্ 'যারিয়াত : ৫৬
যুগে যুগে তিনি অসংখ্য নাবী ও রাসুলগণকে প্রেরণ করেছেন, পথপ্রদর্শনের কিতাব সমূহ নাযিল করেছেন । যা সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতাকে অস্বীকারের শামিল আর এগুলোই হ'ল শিরক।
শিরক অর্থ
_________________
শিরক হচ্ছে সৃষ্টিকে স্রষ্টার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ করা ।
"যে ব্যাক্তি আল্লাহর সংগে অংশীস্থাপন করে তার জন্য অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন আর আবাসস্থল জাহান্নাম ।"
— ৫. সূরা আল-মায়িদাহ : ৭২
এ কারণে বান্দার ওপর অপরিহার্য গুরুত্যপূরন কাজ হল 'তাওহীদের' বিসুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করা। নিজের ঈমান 'আক্বীদাহ ও যাবতীয় 'আমল শিরক মুক্ত রাখা, তাই তাওহীদ এর প্রকৃত জ্ঞান না থাকলে কোন জ্ঞানই পরিপূর্ণ ।
শিরক প্রধানতঃ দু' প্রকার :
_______________
ক) বড় শিরক
আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার বানানো, আল্লাহকে ডাকার মতো অন্যকে ডাকা, আল্লাহকে ভয় করার মতো অন্যকে ভয় করা। তার কাজে যা কামনা করা হয় অন্যের কাছে তা কামনা করা । তাকে ভালবাসার মতো অন্যকে ভালবাসা । আল্লাহর সাথে যার অংশীদার করা হয় যে কোন ধরনের 'ইবাদাত তার জন্য নির্দিষ্ট করা। অর্থাৎ
(১) নাবী ও অলীদের ক্ববরের উপর মসজিদ নির্মাণ করা।
(২) আল্লাহর ওপর মিথ্যারোপ করে কোন বস্ত হালাল বা হারাম করা।
(৩) মাজারে গমন করা ও তাদের নাম ধরে সরাসরি ওয়াসিলাহ করে দু'আ কামনা করা - এ ধরনের কাজ ও বিশ্বাস নিঃসন্দেহে শিরক ।
(৪) মানুষের তৈরিকৃত আইনকে সন্তুষ্টিচিত্তে গ্রহণ করা, উল্লেখ্য এসব আইন বৈধ মনে করাই হ'ল শিরক ।
(৫) পৃথিবীজুড়ে অনেক সম্মানিত অলী, দরবেশ, কুতুব, সালিহ, মনীষী আছেন যারা মানব সমাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ ইলাহী শক্তি ও ক্ষমতার অধিকারী তারা মানুষের জীবনে উন্নতি-অবনতি, সুখ-দঃখ, জয় পরাজয় ও লাভ-ক্ষতি এবং সংকটময় মূহুরতে তাদেরকে সাহায্য-সমাধানের মুক্তিদাতা মনে করা সুস্পষ্ট শিরক ।
(৬) মানুষের মধ্যে যে সব লোক অদৃশ্য ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে জ্ঞানের অধিকারী বলে পরিচিত-গণক, ভবিষ্যৎ বক্তা, যাদুকর ও ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা ব্যক্তি জ্যোতিষী, হস্তরেখা বিশারদ, যাদুবিদ্যা চর্চা প্রভৃতি শিরক ।
(৭) বর্তমানে শহর গ্রামে ওঝা, দরবেশ, পীর-ফকীর, কবিরাজ, গণক, যাদুকর ও জ্যোতিষীরা নিজেদের অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বলে ঘোষণা করে । আল্লাহর হুকুমের অমান্য করে নেতা, 'আলিম ও বুযুর্গদের কথা মানাও হল শিরক ।
(৮) অলীগণের মধ্যে গাউস কুতুবরা পৃথিবী পরিচালনা করেন বলে বিশ্বাস করাও শিরক ।
(৯) আউলিয়াদের ক্ববরের পাশে দাঁড়িয়ে বিনয় প্রকাশ করা বা ( মানত ) দেয়াও শিরক ।
( ১০ ) আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট দু'আ বা প্রার্থনা জ্ঞাপক করাও শিরক ।
( ১১ ) আল্লাহর রসুল ( সাঃ )- এর নামে সকাল হয়েছে বলাও শিরক ।
( ১২ ) ক্ববরের দিকে তাকিয়ে সলাত আদায় করাও শিরক ।
( ১৩ ) আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু যাবাহ বা কুরবানি করাও শিরক ।
( ১৪ ) বারাকাতের আশায় ক্ববর যিয়ারত করাও শিরক ।
( ১৫ ) আল্লাহর আইন ছাড়া বিচার করা শিরক ।
খ) ছোট শিরক
( ১ ) আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে ক্বসম খাওয়া ।
( ২ ) শিরক কুফর যুক্ত ঝাড়ফুঁক, তা'বীজ তুমার ও কবচ হাত বা গলায় ঝুলানো হয় কিংবা কেবল তা'বীজ এর উপর ভরসা করা হয় । যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে হয় কিংবা কেবল তা'বীজ এর উপর ভরসা করা হয় ।
( ৩ ) রিয়া অর্থাৎ লোক দেখানো 'ইবাদত করা ।
( ৪ ) অমুক না থাকলে আজ মারাই যেতাম ইত্যাদি বলা ।
( ৫ ) যদি কুকুরটা না থাকত তবে অবশ্যই চোর প্রবেশ করত মনে করা ইত্যাদি ।
শিরক এর ভয়াবহ পরিনাম
____________
শিরকের কারনে মানুষ চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে প্রবেশ করবে । শিরক এর কারণে মানুষ দুনিয়াতেই ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং আখিরাতের চিরস্থায়ী 'আযাব ভোগের উপযুক্ত হয় ।
আল্লাহ বলেন -
" যে ব্যক্তি আমার সাথে শিরক করবে, তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দেওয়া হবে, তার ঠিকানা আগুন এবং যালিমদের জন্যে কোন সাহায্য কারি নেই । "
-৫. সূরা-আল'মায়িদাহ : ৭২
"নিশ্চই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না যে লোক তার সাথে শিরক করে । আর তিনি এর চেয়ে নিম্নপর্যায়ের পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন । "
- ৪. সূরা-আন'নিসা
যদি তারা শিরক করে তাহলে তাদের আমালসমুহ নষ্ট হয়ে যাবে । 'আবদুর রহমান ইবনু আবী বাকরাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদা আমরা রসুল ( সাঃ ) এর নিকট ছিলাম । তিনি ( সাঃ) বলেন, আমি তোমাদের সবচেয়ে বড় তিনটি পাপের কথা বলব কি ? সাহাবীগণ বলেন : হ্যা ! বলুন । আল্লাহ রাসুল বলেন, আল্লাহর সাথে শিরক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করা ।
- ( বুখারি, মুসলিম
শিরকের বাহ্যিক প্রকাশ
_________
বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা আজকে কষ্ট ও মুসীবতে জর্জরিত । তার প্রধান কারণ তাদের মধ্যে শিরক প্রকাশ্যভাবে ও ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে । তার ফলে তারা আজ বিভিন্ন প্রকারের ফিতনাহ-ফ্যাসাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং ভুমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মত প্রাকৃতিক দূরযোগের সম্মুখীন হচ্ছে । কোনটি শিরক কাজ তা না জানার কারণেও ঐ শিরকের কাজকেই সাওয়াবের কাজ বলে মনে করে ভক্তিসহকারে পালন করে যাচ্ছে ।
Sunday, June 9, 2013
গণিতশাস্ত্র এ মুসলিমদের অবদান
গণিতশাস্ত্রে মুসলিমদের অবাদান অসাধারণ । 'আল বিরূনী' গণিতশাস্ত্রে বিশ্ববিখ্যাত ছিলেন । তার গ্রন্থ 'আল-কানূন আল মাসউদী'-কে গণিতশাস্ত্রের বিশ্বকোষ বলা হয় । এতে জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, ক্যালকুলাস প্রভৃতি বিষয়ের সূক্ষ্ম, জটিল ও গাণিতিক সমস্যার বিজ্ঞানসম্মত উৎকৃষ্ট আলোচনা করা হয়েছে । এ গ্রন্থেই তিনি পৃথিবীর পরিমাপ সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা বিজ্ঞানিকবিজ্ঞানিক সত্য হিসেবে আজও প্রতিষ্ঠিত । 'মূসা আল খারিযমী'- কে বীজগণিতের জনক বলা হয়। এ বিষয়ে তার রচিত 'হিসাব আল জাবর ওয়াল মুকাবালাহ ' গ্রন্থের নামানুসারে এ শাস্ত্রকে পরবর্তীতে ইউরীপীয়ার 'এলজেবরা' নামকরণ করে । পাশ্চাত্যের গবেষকেরা এ গ্রন্থটিকে দ্বাদশ শতাব্দীতে ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করেন এবং তখন থেকে ইউরোপের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় এ ষষ্ঠাদশ শতাব্দী পর্যন্ত গণিতের প্রধান পাঠ্যবই হিসেবে পঠিত হয় ।
পদার্থ বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদান
পদার্থ বিজ্ঞানেও মুসলিমদের অবদান সর্বজনবিদিত । এতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পন্ডিত হচ্ছেন আল কিন্দী। তার রচনার সং্খা কমপক্ষে ২৬৫টি এবং তিনি আরবদের মধ্যে প্রথম মুসলিম দার্শনিক । সুনির্দিষ্ট ওজন, জোয়ার ভাটা, আলোক-বিজ্ঞান এবং বিশেষত আলোর প্রতিফলন সম্পর্কে তার একাধিক গ্রন্থ রয়েছে । আল কিন্দী অস্ত্রের জন্য লৌহ ও ইস্পাত এর জন্য ছোট ছোট বই লেখেন । পদার্থ বিজ্ঞানে আল বিরূনীর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। পদার্থ বিজ্ঞানে তার বৃহত্তম অবাদান হচ্ছে, প্রায় সঠিক ভাবে আঠারটি মূল্যবান পাথর ও ধাতুর সুনির্দিষ্ট ওজন নিরূপণ । পদার্থ বিদ্যায় যার নাম না স্মরণ করলেই নয় তিনি হচ্ছেন একাদশ শতাব্দীর 'হাসান ইবন হায়সাম' । যিনি একাধারে পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিদ, অংকবিদ ও চিকিৎসক।
রসায়ন বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদান :
মুসলিমগন রসায়ন বিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন । জাবির ইবন হাইয়্যান-কে আধুনিক কেমিস্ট্রির জনক বলা হয়। তিনি রসায়ন বিষয়ে তার বিভিন্ন গবেষণার উপর প্রায় ৫০০টি আর্টিকেল প্রণয়ন করেন। বিশ্বের বিজ্ঞানীরা 'জাবির ইবন হাইয়্যান- এর অনুসরন করে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় নতুন নতুন পদার্থ আবিষ্কাররে পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন । ধাতু সম্পর্কে জাবির ইবনু হাইয়্যানের মৌলিক মতামত আঠার সতক পর্যন্ত ইউরোপের রসায়ন শিক্ষায় বিনা দ্বিধায় গৃহীত হয় ।
Subscribe to:
Posts (Atom)