Sunday, April 13, 2014

দুনিয়ার জীবন কত দিনের?

quote020313towards-death.jpg

১) আল্লাহ বলেনঃ 'পৃথিবীতে কয় বছর তোমার অবস্থান করেছিলে? তারা বলবেঃ আমরা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি, অতএব তুমি গণনাকারীদের জিজ্ঞেস কর । তিনি বলবেনঃ তোমরা অল্প সময়ই অবস্থান করেছিলে, তোমরা যদি জানতে !
-( সূরা মু'মিনূন : ১১২-১১৪ )

২) যেদিন তারা তা দেখবে সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা (পৃথিবীতে) এক সন্ধ্যা বা এক সকালের বেশী অবস্থান করেনি।
-( সূরা নাযিয়াত : ৪৬ )

৩) তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনা? তাহলে তারা হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারত, আর তাদের কান শুনতে পারত । প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ নয়, বরং বুকের ভিতর যে হৃদয় আছে তাই অন্ধ ।
-( সূরা হাজ্জ : ৪৬ )
৪) এ বিষয় অন্যান্য সূরার আয়াতসমূহ দেখুনঃ হা-মীম আস সাজদা : ৫, কাহফ : ২৫, মা'আরিজ : ৪-৭।
  • উপরোক্ত আয়াত দিবালোকের ন্যায় প্রকাশিত হল এ জীবন কত দিনের, কত সময়ের এবং এর জন্য মানুষ কি না করছে। অনন্ত কালের আখিরাত বা পরকালের জীবনের তুলনায় দেখা গেল যে দুনিয়ার জীবনতো অল্প সময় মাত্র। কেননা গড়ে ৬০,৭০,৮০, বছর দুনিয়ার কর্মমুখর, কর্মক্লান্ত, ছুটন্ত বেচারার অবসরহীন জীবন কেটে গেল চরম পেরেশানীতে অথচ সেই পরকালের তুলনায় এত সময়ের হিসাব মাত্র এক সকাল বা এক সন্ধ্যা । একদিন বা দিনের একাংশ । আর এ জন্যই হানাহানি-মারামারি স্বার্থের দ্বন্দে দুনিয়ার জীবনটা কি বিষময় করে তুলেছি । এ কথা ভাবার সময় পান কত জনে? হাজারে একজনও কি মিলবে ? মহানাবী (সাঃ)-এর হুশিয়ারীঃ জান্নাতে যাবে হাজারে একজন, আর নয়শত নিরানব্বই জনই ওই অনন্ত কালের দাউ দাউ করা প্রজ্বলিত অনলে জ্বলবে । সে কি অসহায় জীবন! তা প্রত্যেক মুসলিম্লে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে।

Wednesday, January 29, 2014

বুজুর্গ,পীর,দরবেশদের দাবী রাসূল (সাঃ) নূরের তৈরি এবং তার ছায়াও ছিলনা।

মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন—

" তাদের অন্তর খেলায় মগ্ন। যালিমরা গোপনে পরামর্শ করেঃ তিনি তোমাদেরই মত মানুষ ছাড়া কি অন্য কিছু? তোমরা কি দেখে-শুনে যাদুর কবলে পরবে?"
—( সূরা আম্বিয়া : ৩ )

আরও বলেন—

" অথবা তোমার একটি স্বর্ণ নির্মিত গৃহ হবে, অথবা তুমি আকাশে আরোহণ করবে, কিন্তু তোমার আকাশে আরোহণ আমরা তখনও বিশ্বাস করবনা যতক্ষণ না তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব অবতীর্ণ করবে যা আমরা পাঠ করব। বলঃ পবিত্র আমার মহান রাব্ব! আমি তো শুধু একজন মানুষ, একজন রাসূল। "
—( বানী ইসরাইল : ৯৩ )

এ বিষয়ে অন্যান্য সূরায় আয়াতসমূহ দেখুনঃ হাজ্জ : ৭৫, রাদ : ৩৮, হা-মীম আসসাজদা : ৬, ফুরকান : ৭, ২০, মুমিনূন : ৩৩, ৩৪, ইবরাহীম : ১০-১১

=> মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন অর্থাৎ মনব জাতি মাটির তৈরি। উপরে উল্লেখকৃত আল্লাহর আয়াতে অকাট্যভাবে প্রমাণ হল যে, রাসূল (সাঃ) একজন মানুষ ছিলেন। অতএব আমাদের রাসূল (সাঃ)-ও মায়ের গর্ভের মধ্যে সৃষ্টি। রাসূল (সাঃ) নূরের তৈরি কথাটি ঠিক নয়। তার ছায়া ছিলনা এ কথা সত্য নয়। কারণ, রাসূল (সাঃ) এর ছায়া না থাকলে অবশ্যই আরাববাসীরা বলতেন।
রাসুলাল্লাহ (সাঃ) ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত আরাববাসীদের নিকট "আল আমীন" (সত্যবাদী) ছিলেন। নাবুওয়াত প্রাপ্তির পর যখন তিনি প্রচার করলেন, "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ" 'এক আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মা'বূদ নেই", সমস্ত মূর্তির ইবাদাত ছেড়ে একমাত্র আল্লা-হর ইবাদাত কর, তখনই আরাববাসীরা রাসূল (সাঃ) কে 'আল আমিনের' পরিবর্তে পাগল [নাউজুবিল্লা] আখ্যা দিতেও ছাড়েনি। আর যদি রাসূল (সাঃ)-এর ছায়া না থাকত তাহলে আরাববাসীরা রাসুলাল্লাহ (সাঃ) কে মানুষ না বলে অন্য কোনো নামে ডাকত।
নূরের তৈরি বস্তুর ছায়া থাকেনা এটা ঠিক। একটি বস্তুর ছায়া হয় কিভাবে? যখন আলো ওই বস্তু ভেদ করে চলে যেতে পারে না তখনি শুধু আলোর বিপরীতে ওই বস্তুর ছায়া পরে। আবার যখন আলো কোন বস্তুতে বাধা পেয়ে ফিরে এসে আমাদের চোখের পরদায় পরে তখন আমরা ওই বস্তুটাকে দেখতে পাই। অতএব বস্তুর ছায়া নেই সে বস্তু দেখা যায় না, যেমন বাতাসের ছায়া নেই। কারণ আলো বাতাসকে ভেদ করে চলে যায়, তাই বাতাসকে দেখা যায় না। তাহলে বুজুর্গ, দরবেশ বা পীরসাহেবরা ভবিষ্যতে এটাও বলবেন, " রাসুল (সাঃ)-কে কেউ দেখতে পেতেননা।" রাসুল (সাঃ)-কে সাহাবীগন (রাঃ) অবশ্যই দেখতে পেতেন। তাহলে রাসুল (সাঃ) এর দেহ ভেদ করে আলো যেত না, বরং আলো ফিরে এসে সাহাবাগণদের চোখে পরতো বলেই তারা দেখতেন। অতএব রাসুল (সাঃ) এর দেহ আমাদের মত রক্ত মাংসের ছিল। এ সমস্ত গাঁজাখুরি কথা বিশ্বাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রিধারীগন এ সমস্ত বুজুর্গ,দরবেশ বা পীরদের পূজা, পাইরুবী, সন্মান ও তোষামোদ করে চেলেছে আখিরাতে পার পাবার জন্য। সত্যি কি মহান আল্লা-হর রোষানল থেকে মনে এ বিশ্বাস পোষ্ণ করে পার পাওয়া যাবে?