Thursday, July 25, 2013

ইক্বামাত ও ইক্বামাতের জওয়াব এবং ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানোর নিয়ম

ইক্বামাতঃ
ফরজ সলাত শুরুর পূর্ব মুহুর্তে ইক্বামাত দিতে হয় ।
.ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ. ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ. ﺍﺛﻬﺪ ﺍﻥ ﺍﻝ ﺍﻟﻪ ﺍﻟﻠﻪ. ﺍﺛﻬﺪ ﺍﻥ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺭﺳﻮ ﺍﻟﻠﻪ -ﺣﻲ ﻋﻞ ﺍﻟﺼﻼﺓ .ﺣﻲ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻔﻼﺡ .ﻗﺪ ﻗﺎﻣﺔ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻗﺪﻗﺎﻣﺔﺍﻟﺼﻼﺓ. ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺒﺮ. ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻛﺪﺭ .ﻻ ﺍﻟﻪ ﺍﻻ ﺍﻟﻠﻪ.

ইক্বামাতের জওয়াবঃ

ইক্বামাত দেয়ার সময় শ্রোতারাও অনুরূপে বলবে ।
শুধুমাত্র হাইয়া 'আলাস সলাহ্ ও হাইয়া 'আলালফালাহ' র স্থলে 'লা-হাওলা ওয়ালা-কূওয়াতা ইল্লা-হ বিল্লা-হ' বলবে।

জামা'আতে ইমাম ও মুক্তাদীর দাঁড়ানোর নিয়ম

১) যিনি ইমাম হবেন তিনি সবার আগে একা দাঁড়াবেন । মুক্তাদীগণ তার পিছনে সারিবদ্ধভাবে কাতার সোজা করে একে অপরের পায়ের সংগে পা ও কাঁধের সংগে কাধ লাগয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াবে ।

২) দু'জন পুরুষ হলে ইমাম বাম পাশে এবং মুক্তাদী পাশাপাশি পায়ের সংগে পা ও কাধের সংগে কাধ মিলিয়ে দাঁড়াবে ।
-( বুখারী : ৬৫৭)
কোনরূপ আগপিছ হয়ে দাঁড়াবে না । সলাত শুরু হয়ে যাবার পরে তৃতীয় কোন ব্যক্তি আসলে মুক্তাদীকে পিছনের দিকে ঠেলে নিয়ে পিছনে আলাদা কাতার করবে । ইমামকে ঠেলে সামনে দিবে না।

৩) স্বামী-স্ত্রী একত্রে সলাত আদায় করলে স্ত্রী পিছনে দাঁড়াবে ।
—( তিরমিযী : ১৯৭ )

৪) মেয়েরা বাড়িতে জামা'আতে সলাত আদায় করলে জামা'আতের সময় তাদের মহিলা-ইমাম পুরুষের মতমত সামনে একাকী না দাঁড়িয়ে প্রথম কাতারে অন্যান্য মহিলা মুক্তাদীর পাশাপাশি দাঁড়াবে । জেহরী সলাতে ( যে সকল সলাতে ইমামকে জোর কির'আত করতে হয় ) মহিলা ইমাম নিম্নস্বরে কিরা'আত করবে যেন সাথীরা শুনতে ও বুঝতে পারে ।
—( রসূলুল্ল-হ (সাঃ)— এর সলাত - আবূ মুহাম্মদ 'আলীমুদ্দীন নদিয়াভী ১৯১ পৃঃ )

৫) মাসবূক ( যে ব্যক্তি দু'এক রাক'আত সলাত হয়ে যাবার পর জামা'আতে শামিল হয়েছে ) জামা'আতে শামিল হলে সে প্রথমে 'আল্ল-হু আকবারল' বলে তাকবীর তাহরীমা বাঁধবে, অতঃপর ইমামকে যে অবস্থায় পাবে সে অবস্থায় ইমামের বলে জামা'আতে শামিল হয়ে যাবে —( ঐ ১৮৫-১৬৮ পৃষ্ঠ ) ।
দাঁড়ানোর অপেক্ষা করবে না । ইমামের সালাম ফিরানোর পর মাসবূক ব্যক্তি ঈমামের ছুটে যাওয়া সলাতকে সলাতের প্রথমাংশ বা শুরু ধরে অবশিষ্ট সলাত আদায় করবে । বাকী সলাত সমাধার সময় মুক্তাদী পূর্বে এক রাক'আত পেয়ে থাকলে পরের এক রাক'আতে সুরাহ্ আল ফাতিহাহ্ এর সাথে অন্য সুরাহ্ মিলাবে, এক রাক'আতও না পেয়ে থাকলে দু'রাক'আতে অন্য সুরাহ্ মিলাতে হবে, তবে দু'রাক'আত পেয়ে থাকলে আর মিলাতে হবে না ।
—( ঐ ১৮৫-১৮৬ )

৬) মুক্তাদী সর্বাবস্থায় ইমামের অনুসরণ করে প্রতিটি কাজ অবশ্যই ইমামের পরে পরে করবে সংগে সংগে করবে না ।
—( বুলূগুল মারাম : ৩৯৫ )

ইমাম কে হবেন ? সুত্্রাহ (আড়াল) দেয়ার বর্ণনা

ইমাম →
যে ব্যক্তি সবচাইতে উত্তমভাবে কুর'আন পাঠ করতে পারেন তিনি ইমাম হবেন। এতে কয়েকজন সমান হলে, যে ব্যক্তি বেশী হাদীস জানেন তিনি ইমাম হবেন। এক্ষেত্রেও সমান হলে যিনি পূর্বে হিজরত করেছেন তিনি ইমাম হবেন। এক্ষেত্রেও একাধিক ব্যক্তি থাকলে যিনি বয়সে বড় তিনি ইমামতি করবেন ।
—( তিরমিযী : ২২৩ )

সুত্রাহ (আড়াল) দেয়ার বর্ণনাঃ

শরী'আতের পরিভাষায় থাম,দেয়াল কিংবা সলাত আদায়কারীর সামনে যা রাখা হয় তাকে সুত্রাহ্ বা আড়াল বলে ।
'আব্দুল্লাহ ইবনু 'উমার (রাঃ) বলেন, আল্লা-হর রসূল (সাঃ) ঈদের দিনে যখন বের হতেন তখন একটা ছোট বল্লম নিয়ে যাবার হুকুম দিতেন । অতঃপর সেটা তার (সাঃ) সামনে রাখা হত। অতঃপর তিনি সেটার কাছে সলাত আদায় করতেন এবং লোকেরাও তার পিছনে সলাত আদায় করত । আর তিনি সফরেও এরূপ করতেন ।
—( বুখারী : ৪৪৬ )

রসূলুল্ল-হ (সাঃ) বলেন— " তোমাদের কেউ যখন (ফাকা জায়গায়) সলাত আদায় করবে তখন সে যেন কোন জিনিস দিয়ে তার সামনে আড়াল করে দেয়। যদি সে কোন জিনিস না পায় তাহলে সে যেন ( অন্তত পক্ষে) নিজের সামনে জমিনে একটা রেখা টেনে নেয়, তারপর যে কেউ তার সামনে দিয়ে যাক না কেন তার (সলাতের) কোন ক্ষতি করতে পারবে না । "
—( আবূ দাঊদ, ইবন মাজাহ বরাতে মিশকাত : ৭২৫ )

আল্ল-হর রসূল আরও বলেন : " তোমাদের কেউ যখন সুত্রাহ্ দিয়ে সলাত আদায় করবে তখন কেউ (সুতরার ভিতর দিয়ে) তার সামনে দিয়ে চলে যেতে চাইলে সে যেন তাকে বাধা দেয়। যদি সে বাধা না মানে তাহলে সে তার সাথে যেন লড়াই করে। কারণ, সে একটা সয়তান ।
—( বুখারী, মুসলিম,মিশকাত ৭২১)

রসূলুল্ল-হ (সাঃ) আরও বলেন— সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার গুনাহ্ কেউ যদি জানতো তাহলে অতিক্রম না করে বরং তার জন্য চল্লিশ বছর দাঁড়িয়ে থাকা শ্রেয়তর হত ।
—( বুখারী : ৪৮০ )

Friday, July 12, 2013

The.Message [ Low Quality ] | মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী

2677.jpg

.:: Part | 1 ::.
___________

Filename : TheMessage-Urudu-AHMAD-1.avi
Date Added : 13 July 2013 17:54
Extention : .avi
File Size : 60223.9 kB


Server 1

Server 2

Server 3

Server 4

Server 5

Server 6

Server 7


.:: Part | 2 ::.
___________

Filename : TheMessage-Urudu-AHMAD-2.avi
Date Added : 13 July 2013 17:57
Extention : .avi
File Size : 79737.4 kB

Server 1

Server 2

Server 3

Server 4

Server 5

Server 6

Server 7

Thursday, July 11, 2013

যেসব কারণে শরীর নাপাক হয় এবং গোসল ফরয হয় ও কিভাবে ফারয্ গোসল করতে হয়।

pure-water-for-a-healthy-home.jpg

পবিত্রতার নির্দেশ
______________

সলাতের জন্য পবিত্রতা অর্জন করা ফরয ।
—( সূরা আন'নিসা : ৪৩ )
অপবিত্র শরীরে,কাপড়ে ও বিছানা পত্রে সলাত হয় না ।
—( মিশকাত : ২৬২ )

যেসব কারণে শরীর নাপাক হয় এবং গোসল ফারয হয়।
_______________________

(১) সহবাস করলে,
(২) স্বপ্নদোষ হলে,
(৩) স্বপ্নের কথা স্মরণ থাকুক বা না থাকুক শরীরে, কাপড়ে বা বিছানায় বীর্যের চিহ্ন দেখতে পেলে,
(৪) স্বামী-স্ত্রীর মিলন হলে বীর্যপাত হোক বা না হোক,
(৫) এছাড়া মহিলাদের মাসিক ঋতুস্রাব ( হায়িয) বন্ধ হলে,
(৬) নিফাস ( সন্তান প্রসবের পর যে রক্তস্রাব হয় ) বন্ধ হলে,
(৭) স্ত্রী-পুরুষ কারও উত্তেজনার সাথে বীর্য বের হলে ফরয গোসল ছাড়া সলাত হবে না ।
উল্লেখ্য কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে, মুর্দাকে গোসল দিলে এবং জুমু'আর সলাতের জন্য গোসল করা সুন্নাত ।
—( মিশকাত : ৪১৫, ৪১৯, ৪২১)

পানির বর্ণনা
________________

পানি হলো শারীরিক পবিত্রতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পবিত্র পানি দিয়ে যেন ওযূ,গোসল এবং খাওয়া-দাওয়া করা যায় তার প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা কর্তব্য । রসূলুল্ল-হ ( সাঃ ) বলেছেন,
" তোমরা কেউ যেন ঘুম থেকে জেগে দু'হাতের কব্জি পর্যন্ত না ধুয়ে পানির পানির পাত্রে হাত না ডুবায় । কারণ, জানা নেই যে ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় কি অবস্থায় ছিল । "
—( মুসলিম : ৫৫৩ )

উল্লেখ্য সমুদ্র, নদ-নদী, খাল-বিল, ঝর্ণা, পুকুর, কুয়া, নলকূপ, ট্যাংক ইত্যাদির পানি সর্বদা পাক হয়ে থাকে । গভীর লতা-পাতা,ঘাস ইত্যাদি পঁচে গেলে অথবা পানিরচর বা রক্তহীন প্রাণী পড়ে মরে গেলেও উক্ত পানি নাপাক হবে না ।
—( মিশকাত : ৪৪৮, ৪৪৯ )

তবে পানি যদি ১৯১-২০০ কেজির চেয়ে কম হয়, তাহলে তা নাপাক । এর বেশী হলে পানি পাক । তাতে ওযূ-গোসল চলবে ।
—( মিশকাতুল মাসাবীহ : ৪৭৭ )

ফরয গোসলের নিয়ম পদ্ধতি
__________________

ফারয্ গোসল পর্দার আড়ালে করা সুন্নাত ।
—( বুখারী : ২৭২ )
( মনে মনে ফরয গোসলের নিয়্যাত করে) প্রথমে উভয় হাত উত্তম হাত উত্তমরূপে ধুয়ে ডান হাতের সাহায্যে পানি নিয়ে বাম হাত দিয়ে গুপ্তাংগসহ ( যে সব জায়গায় নাপাকী লেগেছে) ভালভাবে পরিষ্কার করে হাত মাটিতে ঘষে কিংবা সাবান দিয়ে ধুয়ে সলাতের ওযূর ন্যায় ওযূ করতে হবে । অর্থাৎ "বিসমিল্লা-হ" বলে ডান হাতে পানি নিয়ে উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধোয়া, তিনবার কুলি করা, তিনবার নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়া, কপালের গোড়া হতে দুই কানের লতি ও থুঁতনির নীচ পর্যন্ত , প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাত তিনবার ধোয়া ( আংগুলে আংটি থাকলে, মেয়েদের হাতে, কানে, নাকে গহনা থাকলে তা নেড়ে-চেড়ে ভিজিয়ে নেয়া, সম্পূর্ণ মাথা মাসাহ করা।, তারপর তিন অনজলি ( দুই হাতের তালু) পানি মাথায় দিয়ে আংগুল দ্বারা চুলের গোড়া ভালভাবে ভিজিয়ে সমস্ত শরীরে এমনভাবে পানি ঢালতে হবে যাতে কোথাও এক লোমকূপ পরিমাণ স্থান শুকনা না থাকে । সবশেষে একটু সরেগিয়ে উভয় পা ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে । তারপর ওযূ শেষের দু'আটি পাঠ করতে হবে । )
—( বুখারী : ২৪১, ২৪২, ২৫২; মুসলিম : ৬২৮ )
'আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, নাবী মুহাম্মদ (সাঃ) ফরয গোসলের পর আর ওযূ করতেন না ।
—( তিরমিযী : ১০৩, মিশকাত : ৪০৯ )