- – -জুম্মার দিন যা করণীয়- – -
১) ফজরের সালাত অবশ্যই আজ থেকে জামাতে আদায় করা শুরু করুন যারা প্রতিদিন করেন না । (আল-বায়হাকী , সহীহ আল-আলবানি, ১১১৯)
২) সালাত আল-জুম্মার পূর্বের এবং পরের করণীয়
> জুম্মার দিন গোসল করা
** (সহিহ বুখারী এবং সহিহ মুসলিম : ১৯৫১ এবং ৯৭৭)
> জুম্মার সালাতে শীঘ্রই উপস্থিত হওয়া
** (সহিহ বুখারী এবং সহিহ মুসলিম : ৯২৯ এবং ১৯৬৪)
> পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা
** (আল-তিরমিজি, ৪৯৬)
> মনোযোগ সহকারে জুম্মার খুৎবা শোনা
** (সহিহ বুখারী ৯৩৪ এবং সহিহ মুসলিম ৮৫১)
৩) জুম্মার দিন আপনার দুয়া কবুল হবার সেই মুহূর্তটির অনুসন্ধান করুন
** (সহিহ বুখারী এবং সহিহ মুসলিম : ৯৩৫ এবং ১৯৬৯)
৪) সূরা কাহাফ তিলাওয়াত
** (আল-হাকিম, ২/৩৯৯; আল-বায়হাকী, ৩/২৪৯)
বিস্তারিত জানতে http://tiny.cc/29e8jw
৫) আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপর দুরদ পাঠ
** (ইবনে মাজাহ ১০৮৫ , আবু দাউদ , ১০৪৭)
৬) জুম’আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে ৪ রাকা’আত সুন্নাত সালাত আদায় করা অথবা বাসায় ফিরে ২ রাকা’আত সুন্নাত আদায় করা । দুটোই সহিহ
** (সহিহ বুখারীঃ ১৮২, সহিহ মুসলিমঃ ৮৮১, আবু দাউদঃ ১১৩০)
৭) জুম’’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা।
** (সহিহ বুখারীঃ ৮৮০)
৮) দু’রাকা’আত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত আদায় করা ছাড়া না বসা।
** (সহিহ বুখারীঃ ৯৩০)
- – - যা বর্জনীয়- – -
১> ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হওয়া উচিত নয় । হলে জায়গা পরিবর্তন করে বসা উচিত ।
** (সহিহঃ আবু দাউদঃ ১১১৯)
২> খুৎবার সময় কেউ কথা বললে চুপ করুন’ এটুকুও বলা যাবে না ।
**(নাসায়ীঃ ৭১৪, সহিহ বুখারীঃ ৯৩৪)
৩> ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে বসা উচিত নয়, যদিও এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন ।
** (সহিহ হাদিসঃ আবু দাউদঃ ১০৮৯)
৪> আর যারা ধূমপান করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আজ থেকে ধূমপান ছাড়ার পরিকল্পনা করুন । এটি মাখরুহ নয়, তামাক জাতিয় সকল পণ্য পান করা হারাম । বিস্তারিত দেখুন http://goo.gl/FASLq
________________________________
মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র আল কুরআনে বলেনঃ
“إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
“আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন । হে মুমিনগণ ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর । ”
** (সূরা আল আহযাব ৩৩:৫৬)
তাই আসুন আমরা দুরুদ পড়ি এবং অন্যকে উদ্ধুদ্ধ করি ।
আল্লাহ তা’আলা জুম্মার এই দিন সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
” মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর । এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ । অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও । “
(সূরা জুমুআ ৬২:৯-১০)
No comments:
Post a Comment